This review may contain spoilers
This is the best Chinese School Drama ever made!!!
আমি এই মর্মে সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে ঘোষণা করছি যে, আমার দেখা প্রায় ত্রিশ+ চাইনিজ স্কুল ড্রামার মাঝে সবচেয়ে বেস্ট ড্রামা হচ্ছে 'Forever Love'। এই ড্রামার প্রোডাক্টশন, স্টোরি, এক্টিং, কাস্টিং সবকিছুই অসাধারণ। ছোটখাটো একটা খারাপ লাগার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে শেষের দিকে দুই লাইন লিখবো, তার আগে ভালো লাগাটুকু শেয়ার করি। শেয়ার করি, কেন এটা আমার দেখা সেরা স্কুল ড্রামা।
১। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় দেখা যায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়ক) কেউ একজন খুব জিনিয়াস আর অন্যজন (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) 'ক' লিখতে গিয়ে কলম ভেঙ্গে ফেলে- এই অবস্থা! সেদিক থেকে এটা ব্যতিক্রম। এখানে দুজনই সমানে সমান। সমান ট্যালেন্টেড।
২। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়ক) যে কোন একজন কে দেখানো হয় একটু রূঢ়/কোল্ড ক্যারেক্টারের আর অন্যজন (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) একটু ছ্যাচড়া। রূঢ় জনের পেছনে ছ্যাঁচড়া জন বেহায়ার মত ঘোরাফেরা করে শুধু, পরে একটা সময় গিয়ে ছ্যাচড়াটার জন্য রূঢ়টার মনে করুণা হয়, মায়া হয় পরে ভালোবাসা হয়। সেদিক থেকে এটা ব্যতিক্রম। এখানে দুজনেই সমান ওয়ার্ম, সমান সফট-হার্টেড পার্সন।
৩। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) কেউ একজন নিজের দূর্বলতার জন্য সবসময় ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সে ভোগে এবং এজন্য সবসময় অন্যজনের ভয়ে ভয়ে থাকে/ অন্যজনকে সন্দেহের চোখে দেখে। কিন্তু এখানে নায়ক/নায়িকা কারো মাঝেই ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সের কোনো বালাই ছিলো না। আমি যেমন, তেমনই। দুজনই সমান কনফিডেন্ট।
৪। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা ভদ্র সাজতে গিয়ে (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়িকা) কিংবা নিজের মনের ভাব ক্লিয়ার-কাট ভাবে প্রকাশ করার অভ্যাস না থাকার কারণে (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়ক) সেকেন্ড লীড/থার্ড লীডরা ভাবে তাদের এখনো চান্স আছে। এজন্য তারা আরো বেশি করে ছ্যাচড়ামি/কূটনামি করে। কিন্তু এই ড্রামাটা ব্যতিক্রম। এখানে এই ব্যাপারে নায়ক-নায়িকা দুজনেই খুব স্পষ্টবাদী। নিজেদের মাঝে আর কাউকে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয় নি কেউ, কাউকে কোন কনফিউশন সৃষ্টির সুযোগ দেয়নি কেউ। যারাই মাঝে ঝামেলা পাকাতে এসেছে তাদেরকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে- সে যেমনই হোক, আমার জন্য ও-ই পারফেক্ট। আর কারো কোনো চান্স নেই। তাই রাস্তা মাপো!
৫। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় ছেলে/মেয়েরা যখন প্রেমে পড়ে তখন বাবা-মা পেছন থেকে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেয়- বেস্ট অব লাক/ডু ইওর বেস্ট!! ব্যাপারটা দেখতে অনেক ফানি হলেও আমরা সবাই জানি এটা কতটা আন-রিয়েল। এই ড্রামায় নায়িকার বাবা-মাকে একদম রিয়েলিস্টিক মনে হয়েছে। সত্যিকারের বাবা-মায়েরা তো এমনই হয়, এমনটাই হওয়া উচিত। যেখানে বাঁধা দেয়ার দরকার সেখানে বাঁধা দেবে, যেখানে সাপোর্ট দেয়ার দরকার, সেখানে সাপোর্ট দেবে আর যেখানে মেনে নেয়া দরকার সেখানে মেনে নেবে।
৬। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় দেখা যায় ক্যারিয়ারের জন্য কিংবা অপরজনের ভালোর জন্য নায়ক/নায়িকা কেউ একজন নিজেকে সেক্রিফাইস করেছে/ভালো কোনো অপরটুনিটি সেক্রিফাইস করেছে। এখানে ড্রামাটা ব্যতিক্রম। অন্য জনকে না জানিয়ে কোনো সেক্রিফাইস নয়, ঝড়-ঝাপটা যাই আসুক না কেন, দুজন মিলে-মিশে সেটা সামাল দেবো টাইপ মনোভাব ছিলো দুজনের মাঝে। অনেকসময় দেখা যায়, এসব সেক্রিফাইসের জন্য রিলেশানে কমিউনিকেশানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়, সাময়িক ব্রেকে যায়, এখানে সে ব্যাপারটাও নাই। দুজনের মনোভাবই ছিলো এমন- ১৮ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বা যে কয়দিন বাঁচি, একসাথেই থাকবো। নো ব্রেকাপ!!!
৭। কিছু কিছু ড্রামায় দেখা যায় সেকেন্ড লীড/থার্ড লীড/শুভাকাঙ্খীরা এসে নায়ক/নায়িকাকে বলে- তুমি ওর যোগ্য না, ওকে ছেড়ে দাও, ওকে আমি অনেক ভালো রাখবো কিংবা নায়ক/নায়িকার বাবা-মা এসে বলে- তোমার সাথে আমার ছেলে/মেয়ে ভালো থাকবে না, যদি সত্যিই ওকে ভালোবেসে থাকো তাহলে ওকে ছেড়ে যাও। তখন তারা ভালোবাসার মানুষটির ভালোর কথা চিন্তা করে সাময়িক ব্রেকাপ করে। কিন্তু এই ড্রামাটা এখানে ব্যতিক্রম। তুমি ভালো থাকো কিংবা খারাপ থাকো- আমার সাথেই থাকবা। তারা দুজনেই এই সিদ্ধান্তে অটল ছিলো সবসময়। নিজেরা নিজেদের কাছে এতটা স্বচ্ছ ছিলো যে তাদের রিলেশানের ব্যাপারে আর কারো কোনো Say আমলে নেয়ার দরকার ছিলো না কারো।
৮। নায়িকাটা সুন্দর। একটু বেশিই সুন্দর। মারাত্মক সুন্দর। তার হাসি কিংবা কান্না কিংবা বিশেষ মূহুর্তের এক্সপ্রেশন- সবই সুন্দর। নায়কের প্রতি তার কেয়ারিং কিংবা বন্ধুদের সাথে তার এটিটিউড সবই সুন্দর। অন্যান্য চাইনিজ স্কুল ড্রামার বোকাচোদা টাইপ, ফ্যাশন সেন্স এবং ক্ষেত্র বিশেষে কমনসেন্সহীন, খাটো চুলা এক ব্যাটারি নায়িকার চেয়ে হাজার গুণ বেশি সুন্দর এই ড্রামার নায়িকাটা!!!
এই ড্রামাটা আমার জন্য একটা ঘোরের মত ছিলো। এত আগ্রহ নিয়ে অনেকদিন কোনো ড্রামা দেখিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আগ্রহ বজায় ছিলো। টেনে টেনে স্কিপ করে দেখা লাগেনি কিছু। প্রতিটা মূহুর্তই ছিল সমান উপভোগ্য। যার কারণে এটাই আমার দেখা সেরা চাইনিজ স্কুল ড্রামা।
আর ড্রামার নেগেটিভ দিকের কথা বলতে গেলে বলব এখানে শুধু মেইন লীড কাপলের দিকেই নজর দেয়া হয়েছে। পুরো ফোকাসটা ছিল তাদের উপর। বাকি কাপল গুলোকে অতটা যত্নে লালন করা হয়নি। একটু তাড়াহুড়ো করেই তাদের কাহিনীগুলো শেষ করা হয়েছে। আমার কাছে এটাই খারাপ লেগেছে শুধু। আরো দুটো এপিসোড বাড়িয়ে তাদেরকে আরো খানিকটা স্ক্রিনটাইম দেয়া যেত। তাহলে মন্দ হতো না ব্যাপারটা। দশে দশ দিতাম তখন, এখন সাড়ে নয় দেবো!!
১। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় দেখা যায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়ক) কেউ একজন খুব জিনিয়াস আর অন্যজন (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) 'ক' লিখতে গিয়ে কলম ভেঙ্গে ফেলে- এই অবস্থা! সেদিক থেকে এটা ব্যতিক্রম। এখানে দুজনই সমানে সমান। সমান ট্যালেন্টেড।
২। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়ক) যে কোন একজন কে দেখানো হয় একটু রূঢ়/কোল্ড ক্যারেক্টারের আর অন্যজন (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) একটু ছ্যাচড়া। রূঢ় জনের পেছনে ছ্যাঁচড়া জন বেহায়ার মত ঘোরাফেরা করে শুধু, পরে একটা সময় গিয়ে ছ্যাচড়াটার জন্য রূঢ়টার মনে করুণা হয়, মায়া হয় পরে ভালোবাসা হয়। সেদিক থেকে এটা ব্যতিক্রম। এখানে দুজনেই সমান ওয়ার্ম, সমান সফট-হার্টেড পার্সন।
৩। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নায়িকা) কেউ একজন নিজের দূর্বলতার জন্য সবসময় ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সে ভোগে এবং এজন্য সবসময় অন্যজনের ভয়ে ভয়ে থাকে/ অন্যজনকে সন্দেহের চোখে দেখে। কিন্তু এখানে নায়ক/নায়িকা কারো মাঝেই ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সের কোনো বালাই ছিলো না। আমি যেমন, তেমনই। দুজনই সমান কনফিডেন্ট।
৪। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় নায়ক/নায়িকা ভদ্র সাজতে গিয়ে (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়িকা) কিংবা নিজের মনের ভাব ক্লিয়ার-কাট ভাবে প্রকাশ করার অভ্যাস না থাকার কারণে (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নায়ক) সেকেন্ড লীড/থার্ড লীডরা ভাবে তাদের এখনো চান্স আছে। এজন্য তারা আরো বেশি করে ছ্যাচড়ামি/কূটনামি করে। কিন্তু এই ড্রামাটা ব্যতিক্রম। এখানে এই ব্যাপারে নায়ক-নায়িকা দুজনেই খুব স্পষ্টবাদী। নিজেদের মাঝে আর কাউকে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয় নি কেউ, কাউকে কোন কনফিউশন সৃষ্টির সুযোগ দেয়নি কেউ। যারাই মাঝে ঝামেলা পাকাতে এসেছে তাদেরকেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে- সে যেমনই হোক, আমার জন্য ও-ই পারফেক্ট। আর কারো কোনো চান্স নেই। তাই রাস্তা মাপো!
৫। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় ছেলে/মেয়েরা যখন প্রেমে পড়ে তখন বাবা-মা পেছন থেকে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেয়- বেস্ট অব লাক/ডু ইওর বেস্ট!! ব্যাপারটা দেখতে অনেক ফানি হলেও আমরা সবাই জানি এটা কতটা আন-রিয়েল। এই ড্রামায় নায়িকার বাবা-মাকে একদম রিয়েলিস্টিক মনে হয়েছে। সত্যিকারের বাবা-মায়েরা তো এমনই হয়, এমনটাই হওয়া উচিত। যেখানে বাঁধা দেয়ার দরকার সেখানে বাঁধা দেবে, যেখানে সাপোর্ট দেয়ার দরকার, সেখানে সাপোর্ট দেবে আর যেখানে মেনে নেয়া দরকার সেখানে মেনে নেবে।
৬। বেশির ভাগ স্কুল ড্রামায় দেখা যায় ক্যারিয়ারের জন্য কিংবা অপরজনের ভালোর জন্য নায়ক/নায়িকা কেউ একজন নিজেকে সেক্রিফাইস করেছে/ভালো কোনো অপরটুনিটি সেক্রিফাইস করেছে। এখানে ড্রামাটা ব্যতিক্রম। অন্য জনকে না জানিয়ে কোনো সেক্রিফাইস নয়, ঝড়-ঝাপটা যাই আসুক না কেন, দুজন মিলে-মিশে সেটা সামাল দেবো টাইপ মনোভাব ছিলো দুজনের মাঝে। অনেকসময় দেখা যায়, এসব সেক্রিফাইসের জন্য রিলেশানে কমিউনিকেশানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়, সাময়িক ব্রেকে যায়, এখানে সে ব্যাপারটাও নাই। দুজনের মনোভাবই ছিলো এমন- ১৮ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বা যে কয়দিন বাঁচি, একসাথেই থাকবো। নো ব্রেকাপ!!!
৭। কিছু কিছু ড্রামায় দেখা যায় সেকেন্ড লীড/থার্ড লীড/শুভাকাঙ্খীরা এসে নায়ক/নায়িকাকে বলে- তুমি ওর যোগ্য না, ওকে ছেড়ে দাও, ওকে আমি অনেক ভালো রাখবো কিংবা নায়ক/নায়িকার বাবা-মা এসে বলে- তোমার সাথে আমার ছেলে/মেয়ে ভালো থাকবে না, যদি সত্যিই ওকে ভালোবেসে থাকো তাহলে ওকে ছেড়ে যাও। তখন তারা ভালোবাসার মানুষটির ভালোর কথা চিন্তা করে সাময়িক ব্রেকাপ করে। কিন্তু এই ড্রামাটা এখানে ব্যতিক্রম। তুমি ভালো থাকো কিংবা খারাপ থাকো- আমার সাথেই থাকবা। তারা দুজনেই এই সিদ্ধান্তে অটল ছিলো সবসময়। নিজেরা নিজেদের কাছে এতটা স্বচ্ছ ছিলো যে তাদের রিলেশানের ব্যাপারে আর কারো কোনো Say আমলে নেয়ার দরকার ছিলো না কারো।
৮। নায়িকাটা সুন্দর। একটু বেশিই সুন্দর। মারাত্মক সুন্দর। তার হাসি কিংবা কান্না কিংবা বিশেষ মূহুর্তের এক্সপ্রেশন- সবই সুন্দর। নায়কের প্রতি তার কেয়ারিং কিংবা বন্ধুদের সাথে তার এটিটিউড সবই সুন্দর। অন্যান্য চাইনিজ স্কুল ড্রামার বোকাচোদা টাইপ, ফ্যাশন সেন্স এবং ক্ষেত্র বিশেষে কমনসেন্সহীন, খাটো চুলা এক ব্যাটারি নায়িকার চেয়ে হাজার গুণ বেশি সুন্দর এই ড্রামার নায়িকাটা!!!
এই ড্রামাটা আমার জন্য একটা ঘোরের মত ছিলো। এত আগ্রহ নিয়ে অনেকদিন কোনো ড্রামা দেখিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আগ্রহ বজায় ছিলো। টেনে টেনে স্কিপ করে দেখা লাগেনি কিছু। প্রতিটা মূহুর্তই ছিল সমান উপভোগ্য। যার কারণে এটাই আমার দেখা সেরা চাইনিজ স্কুল ড্রামা।
আর ড্রামার নেগেটিভ দিকের কথা বলতে গেলে বলব এখানে শুধু মেইন লীড কাপলের দিকেই নজর দেয়া হয়েছে। পুরো ফোকাসটা ছিল তাদের উপর। বাকি কাপল গুলোকে অতটা যত্নে লালন করা হয়নি। একটু তাড়াহুড়ো করেই তাদের কাহিনীগুলো শেষ করা হয়েছে। আমার কাছে এটাই খারাপ লেগেছে শুধু। আরো দুটো এপিসোড বাড়িয়ে তাদেরকে আরো খানিকটা স্ক্রিনটাইম দেয়া যেত। তাহলে মন্দ হতো না ব্যাপারটা। দশে দশ দিতাম তখন, এখন সাড়ে নয় দেবো!!
Was this review helpful to you?